
অর্ধনারীশ্বরের সামাজিক তাৎপর্য
অর্ধনারীশ্বরের কল্পনা এবং রূপভাবনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক তাৎপর্যও রয়েছে। সভ্যতার চালিকাশক্তির সূত্রটি শুধু পুরুষেরই হস্তধৃত নয়, সমানভাবে তা নারীরও হস্তধৃত। সভ্যতার উদ্ভব ও অগ্রগতির মূলে নারী ও পুরুষ উভয়ের অবদান সমানভাবে স্বীকৃত হওয়া উচিত। প্রচলিত সমাজ-কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে অধিকাংশ সময়েই হয়তো নারীর ভূমিকা নেপথ্যচারিণীর, কিন্তু নেপথ্যে হলেও গুরুত্বের দিক দিয়ে নারীর ভূমিকা পুরুষের ভূমিকা থেকে কোনো অংশেই কম নয়। যে-সমাজে নারী ও পুরুষের সমান মর্যাদা, যে-সমাজে নারী ও পুরুষের ভূমিকা তুল্যভাবে স্বীকৃত ও সম্মানিত এবং যে-সমাজে নারী ও পুরুষের শক্তি সুষ্ঠুভাবে সম্মিলিত, সেই সমাজই আদর্শ সমাজ। আমাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষগণ এটা জানতেন। সেই উপলব্ধি এবং তা অপর সকলকে অবহিত করানোর প্রয়াসের ফলশ্র“তি হল অর্ধনারীশ্বরের তত্ত্ব এবং অর্ধনারীশ্বরের মূর্তিভাবনা।