Increase Reset Decrease

মহাবিদ্যা - ভৈরবী

দেবী নিজের ছায়া শিবের হৃদয়ে দেখে ভয় পেয়েছিলেন বলে ও স্বয়ং ভৈরব মহাদেবের প্রাণসমা-প্রিয়া আত্মশক্তি বলে এঁকে ত্রিপুরাভৈরবী বলা হয়েছে। ইনি জীবের যমদুঃখ নাশ করেন। এঁরও রূপ সুন্দর, তবে তারসঙ্গে কিছুটা ভীতিসঞ্চারকারী। এঁর ধ্যানে বলা হচ্ছে-

“উদ্যৎ ভানু সহস্রকান্তি, অরুণক্ষৌমাং,
শিরো-মালিকাং, রক্তালিপ্ত পয়োধরাং জপবটীম্।
বিদ্যাম্ অভীতিং করাম্।
হস্তাব্জৈর্দধতীং ত্রিনেত্রবিলসদ্ বক্ত্রারবিন্দশ্রিয়াম্।
দেবীং বদ্ধ হিমাংশু রত্নমুকুটাং বন্দে সুমন্দস্মিতাম্।

উদীয়মান সূর্যের মতো এঁর গাত্রবর্ণ রক্তিম। রক্তবর্ণের পট্টবস্ত্র পরিহিতা। তাঁর করকমল চতুষ্টয়ে জপমালা, পুস্তক, বর ও অভয় মুদ্রা। বক্ষস্থল কণ্ঠের নরমুণ্ডমালার রক্তে রঞ্জিত। ত্রিনেত্রা, পদ্মের ন্যায় সুন্দর মুখ যাঁর। হাস্যবদনা দেবীর মাথায় জটায় চন্দ্রের শোভা তাঁর রত্নময় কিরীটে। পদ্মাসীনা এই দেবী ভৈরবীকে আমি প্রণাম করি। ইনি কালভৈরবের ভার্যা তাই ভৈরবী।

 

Print