Increase Reset Decrease

পদ্যচণ্ডী - ষষ্ঠঃ অধ্যায়ঃ

ষষ্ঠঃ অধ্যায়ঃ
ওঁ নমশ্চণ্ডিকায়ৈ।
ধূম্রলোচন-বধ

দূতমুখে শুনি বাক্য ক্রুদ্ধ দৈত্যরাজ।
ভাবিল দুষ্টার দর্প বিচুর্ণিব আজ।।
সেনানী ধূম্রলোচনে কহেন ডাকিয়া।
দুষ্টারে আকর্ষি কেশে শীঘ্র আন গিয়া।।
রক্ষক যদ্যপি দেখ অবশ্য বধিবে।
অমর, গন্ধর্ব্ব, যক্ষ সবে প্রহারিবে।।
শুনিয়া আদেশ তবে চলিল সেনানী।
রণসাজে মহামত্ত হয়ে শস্ত্রপাণি।।
হিমাচলে দেখি তাঁর সমীপে যাইয়া।
কহিল সেনানী দর্পে কিসের লাগিয়া।।
বৈস হেথা হে সুন্দরী, আমার ভর্ত্তায়।
উপগত হও তুমি, নাহি কোন ভয়।।
যদি না শোনহ বাক্য আকর্ষিয়া কেশে।
লইয়া যাইব তোমা শুম্ভের সকাশে।।
দেবী কহে বলে মোরে লইবে যখন।
“করিবার কিছু নাই” কর যাহা মন।।
এত যদি বলিলেন জগৎ-ঈশ্বরী।
ধাইল ধূম্রলোচন মহানাদ করি।।
ভীষণ হুঙ্কারে দেবী চাহি তার পানে।
অচিরে করিলা ভস্ম নয়নাগ্নি বাণে।।
সেনানী নিহত দেখি যত সৈন্যগণ।
দেবীর সহিত তবে করে মহারণ।।
শক্তিশেল পরশ্বধ ভূম দরশন।
হানে উভরায় কত না যায় সংখ্যায়।।
ফুলায়ে জটিল জটা কেশরী ভীষণ।
নখাগ্রে নিহত করে সৈন্য অগণন।।
কণ্ঠনালী ছিন্ন করি রক্ত করি পান।
লাঙ্গুল আঘাতে কত বধিল পরাণ।।
ধূম্রলোচনের মৃত্যু সংবাদ শুনিয়া।
অগ্নিসম জ্বলে দৈত্য ক্রোধান্বিত হৈয়া।।
চণ্ড মুণ্ডে পাঠাহলা সসৈন্যে সমরে।
আনহ সে ধৃষ্ঠা নারী বাঁধিয়া সত্বরে।।
দুষ্ট সিংহে বধ করি ছিন্ন শির লয়ে।
অচিরে আনিবে হেথা আমার আলয়ে।।

-ইতি স্তম্ভ নিশুম্ভ সেনানী ও ধূম্রলোচন বধ।



Print