
পঞ্চমঃ অধ্যায়ঃ
পঞ্চমঃ অধ্যায়ঃ |
|
মূল |
অনুবাদ |
শ্রী kªxgnvmi¯^Zx ধ্যানম্। |
শ্রী kªxgnvmi¯^Zxi ধ্যান। |
(ওঁ ঐং) ঋষিরুবাচ।। ১ |
মেধা ঋষি বলিলেন-পূর্বকালে শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক অসুরদ্বয় বল ও গর্ব-প্রভাবে ইন্দ্রের ত্রিলোকাধিপত্য ও যজ্ঞভাগসমূহ হরণ করিয়াছিল। ১-২ |
তাবেব সূর্য্যতাং তদ্বদধিকারং তথৈন্দবম্। |
তাহারা উভয়েই সূর্য, চন্দ্র, কুবের, যম ও বরুন এবং বায়ু ও অগ্নির অধিকার গ্রহণপূর্বক তাঁহাদের কার্য-সম্পাদন করিতে লাগিল। দখন দেবগণ সম্যক্রূপে অধিকারশূন্য, রাজ্যচ্যুত ও পরাজিত হইলেন। ৩-৪ |
তাবেব পবনর্দ্ধিঞ্চ চক্রতুর্বহ্নিকর্ম্ম চ। |
|
হৃতাধিকারাস্ত্রিদশাস্তাভ্যাং সর্ব্বে নিরাকৃতাঃ। |
প্রধান দেবতাগণ সেই মহাসুরদ্বয় কর্তৃক স্ব স্ব অধিকার হইতে বিচ্যুত ও ¯^M© হইতে বিতাড়িত হইয়া সেই অপরাজিতা দেবীকে সম্যক্রূপে স্মরণ করিলেন। ৫ |
তয়াস্মাকং বরো দত্তো যথাপৎসু স্মৃতাখিলাঃ। |
সেই দেবী আমাদিগকে এই বর প্রদান করিয়াছিলেন-বিপদকালে আমাকে স্মরণ করিলে আমি তোমাদের সমস্ত মহাবিপদ তৎক্ষণাৎ নাশ করিব। ৬ |
ইতি কৃত্বা মতিং দেবা হিমবন্তং নগেশ্বরম্। |
এইরূপ চিন্তা করিয়া দেবগণ গিরিরাজ হিমালয়ে গমনপূর্বক তথায় বৈষ্ণবী-শক্তি মহাদেবীকে উত্তমরূপে স্তব করিলেন। ৭ |
দেবা ঊচুঃ।। (ওঁ ঐং) ৮ |
মহাদেবীকে দেবগণ এইরূপে স্তব করিলেন-দেবীকে, মহাদেবীকে প্রণাম। সতত মঙ্গলদায়িনীকে প্রণাম। সৃষ্টিশক্তিরূপিণী প্রকৃতিকে প্রণাম। আমরা সমাহিত চিত্তে তাঁহাকে বারবার প্রণাম করি। ৮-৯ |
রৌদ্রায়ৈ নমো নিত্যায়ৈ গৌর্য্যে ধাত্র্যৈ নমো নমঃ। |
রৌদ্রাকে (সংহারশক্তিকে) প্রণাম। নিত্যাকে (ত্রিকালাতীত সত্তারূপিণীকে) প্রণাম। গৌরী জগদ্ধাত্রীকে প্রণাম। জ্যোৎস্নারূপা, চন্দ্ররূপা ও myL¯^iƒcv‡K সতত প্রণাম। ১০ |
কল্যাণ্যৈ প্রণতা বৃদ্ধ্যৈ সিদ্ধ্যৈ কূর্ম্মো নমো নমঃ। |
কল্যাণীকে প্রণাম করি। বৃদ্ধিরূপা ও সিদ্ধিরূপাকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি। অলক্ষ্মীরূপা, ভূপতিগণের লক্ষ্মীরূপা শর্বাণী আপনাকে বার বার প্রণাম করি। ১১ |
দুর্গায়ৈ দুর্গপারায়ৈ সারায়ৈ সর্ব্বকারিণ্যৈ। |
দুস্তর-ভবসমুদ্র-পার-কারিণী, শক্তিরূপিণী, সৃষ্টিকর্ত্রী, খ্যাতি (বা প্রকৃতি-পুরুষের ভেদ বা প্রসিদ্ধি) রূপিণী কৃষ্ণবর্ণা ও ধূম্রবর্ণা দুর্গাদেবীকে প্রণাম করি। ১২ |
অতিসৌম্যাতিরৌদ্রায়ৈ নতাস্তস্যৈ নমো নমঃ। |
যিনি বিদ্যারূপে অতি সৌম্যা এবং অবিদ্যারূপে অতি রৌদ্রা (অতি ভীষণা) তাঁহাকে পুনঃপুনঃ প্রণাম। জগতের আশ্রয়রূপিণীকে প্রণাম। ক্রিয়ারূপা দেবীকে পুনঃপুনঃ প্রণাম। ১৩ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু বিষ্ণুমায়েতি শব্দিতা। |
যে দেবী সকল প্রাণীতে বিষ্ণুমায়া নামে [আগমশাস্ত্রে] অভিহিতা হন, তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ১৪-১৬ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু চেতনেত্যভিধীয়তে। |
যে দেবী সর্বভূতে চেতনারূপে প্রসিদ্ধা তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ১৭-১৯ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বভূতে বুদ্ধিরূপে অবস্থিতা তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ২০-২২ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু নিদ্রারূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বভূতে নিদ্রারূপে বিরাজিতা, তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ২৩-২৫ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু ক্ষুধারূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বভূতে ক্ষুধারূপে অবস্থিতা, তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ২৬-২৮ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু চ্ছায়ারূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বপ্রাণীতে ছায়ারূপে বিরাজমানা, তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ২৯-৩১ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা।ড় |
যে দেবী সর্বপ্রাণীতে শক্তিরূপে অধিষ্ঠিতা, তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৩২-৩৪ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু তৃষ্ণারূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বভূতে তৃষ্ণা-(বিষয়-বাসনা)রূপে সংস্থিতা তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৩৫-৩৭ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু ক্ষান্তিরূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বভূতে ক্ষমারূপে অবস্থিতা তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৩৮-৪০ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু জাতিরূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বপ্রাণীতে জাতিরূপে সংস্থিতা তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৪১-৪৩ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু লজ্জারূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বভূতে লজ্জারূপে অবস্থিতা, তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৪৪-৪৬ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু শান্তিরূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বপ্রাণীতে শান্তিরূপে সংস্থিতা, তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৪৭-৪৯ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু শ্রদ্ধারূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বভূতে শ্রদ্ধারূপে অবস্থিতা তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৫০-৫২ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু কান্তিরূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বপ্রাণীতে কান্তিরূপে অবস্থিতা, তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৫৩-৫৫ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু লক্ষ্মীরূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বপ্রাণীতে লক্ষ্মীরূপে অবস্থিতা তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৫৬-৫৮ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু বৃত্তিরূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বভূতে (কৃষি, গোরক্ষা ও বাণিজ্যাদি) বৃত্তি (জীবিকা)-রূপে সংস্থিতা, তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৫৯-৬১ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু স্মৃতিরূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বভূতে স্মৃতিরূপে অবস্থিতা, তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৬২-৬৪ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু দয়ারূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বপ্রণীতে দয়ারূপে অবস্থিতা তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৬৫-৬৭ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু তুষ্টিরূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বভূতে সন্তোষরূপে অবস্থিতা, তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৬৮-৭০ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বপ্রাণীতে মাতৃরূপে অবস্থিতা তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৭১-৭৩ |
যা দেবী সর্ব্বভূতেষু ভ্রান্তিরূপেণ সংস্থিতা। |
যে দেবী সর্বভূতে ভ্রান্তিরূপে সংস্থিতা তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৭৪-৭৬ |
ইন্দ্রিয়াণামধিষ্ঠাত্রী ভূতানাঞ্চাখিলেষু যা। |
যিনি সকল প্রাণীতে চতুর্দশ ইন্দ্রিয়ের অধিষ্ঠাত্রী দেবতারূপে বিরাজিতা এবং যিনি পৃথিবী আদি পঞ্চ স্থূল ও পঞ্চ সূক্ষ্ম ভূতের প্রেরয়িত্রী, সেই বিশ্বব্যাপিকা ব্রহ্মশক্তিরূপা দেবীকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম। ৭৭ |
চিতিরূপেণ যা কৃৎস্নমেতদ্ ব্যাপ্য স্থিতা জগৎ। |
যিনি চিৎশক্তিরূপে এই সমগ্র জগৎ ব্যাপিয়া অবস্থিতা, তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার। তাঁহাকে নমস্কার, নমস্কার, নমস্কার। ৭৮-৮০ |
স্তুতা সুরৈঃ পূর্বমভীষ্টসংশ্রয়া |
ব্রহ্মাদি দেবগণ পূর্বে যাঁহার স্তব করিয়াছিলেন এবং দেবরাজ ইন্দ্র মহিষাসুরবধরূপে অভীষ্ট-প্রাপ্তি হওয়ায় প্রতিদিন যাঁহার পূজা করিতেন, উদ্ধত দৈত্যগণ কর্তৃক পীড়িতা হইয়া আমরা দেবগণ যে ঈশ্বরীকে সমপ্রতি স্তব করিতেছি এবং যাঁহাকে ভক্তিনত দেহে স্মরণ করিলে তিনি সেইক্ষণেই আমাদের সকল বিপদ নাশ করেন, সেই মঙ্গলময়ী পরমেশ্বরী আমাদের পরম মঙ্গল বিধান করুন এবং আমাদের আপদসমূহ বিনাশ করুন। ৮১-৮২ |
যা সামপ্রতং চোদ্ধতদৈত্যতাপিতৈ |
|
ঋষিরুবাচ।। ৮৩ |
মেধা ঋষি বলিলেন-হে নৃপনন্দন সুরথ, তথায় এইরূপ স্তবাদিতে নিযুক্ত দেবগণের সম্মুখে দেবী পার্বতী জাহ্নবীর জলে স্নান করিতে আগমন করিলেন। ৮৩-৮৪ |
সাব্রবীত্তান্ সুরান্ সুভ্রূর্ভবদ্ভিঃ সতূয়তেহত্র কা। |
সেই সুভ্র দেবী পার্বতী ইন্দ্রাদি দেবগণকে জিজ্ঞাসা করিলেন-আপনারা কাহার স্তব করিতেছেন? তখন তাঁহার (দেবীর) শরীর-কোষ হইতে আদ্যাশক্তি শিবা (সত্ত্ব-প্রধানাংশে) আবির্ভূতা হইয়া বলিলেন- ৮৫ |
স্তোত্রং মমৈতৎ ক্রিয়তে শুম্ভদৈত্যনিরাকৃতৈঃ। |
নিশুম্ভাসুর কর্তৃক যুদ্ধে পরাজিত এবং শুম্ভাসুর কর্তৃক ¯^M© হইতে বিতাড়িত দেবগণ সমবেত হইয়া আমারই স্তব করিতেছেন। ৮৬ |
শরীরকোষাদ্ যত্তস্যাঃ পার্ব্বত্যা wbtm„Zvw¤^Kv| |
সেই পার্বতী দেবীর দেহ-কোষ হইতে Aw¤^Kv উৎপন্না হইয়াছেন বলিয়া ত্রিজগতে তিনি কৌশিকী নামে অভিহিতা। ৮৭ |
তস্যাং বিনির্গতায়ান্তু কৃষ্ণাভূৎ সাপি পার্ব্বতী। |
কৌশিকী দেবীর নির্গমনের পর পার্বতী দেবীও কৃষ্ণাবর্ণা হইয়া নিখিল দেবস্থান হিমালয়ে অধিষ্ঠান করিয়া কালিকা নামে প্রসিদ্ধা হইলেন। ৮৮ |
Z‡Zvnw¤^Kvs পরং রূপং বিভ্রাণাং সুমনোহরম্। |
অনন্তর শুম্ভ ও নিশুম্ভের অনুচরদ্বয় চণ্ড ও মুণ্ড অতি মনোহর মূর্তিধারিণী Aw¤^Kv (কৌশিকী) দেবীকে দেখিতে পাইল। ৮৯ |
তাভ্যাং শুম্ভায় চাখ্যাতা অতীব সুমনোহরা। |
এবং তাহারা উভয়ে শুম্ভের সমীপে সেই কৌশিকী দেবীর এইরূপ বর্ণনা করিল-হে মহারাজ, পরমা সুন্দরী এক রমণী হিমাচল আলোকিত করিয়া অবস্থান করিতেছেন। ৯০ |
নৈব তাদৃক্ ক্বচিদ্রূপং দৃষ্টং কেনচিদুত্তমম্। |
হে অসুরপতি, তাদৃশ রমণীর মূর্তি কেহ কখনও কোথাও দেখে নাই। ইনি নিশ্চয়ই কোন দেবপত্নী। তাঁহার বিষয় জানিয়া তাঁহাকে গ্রহণ করুন। ৯১ |
স্ত্রীরত্নমতিচার্ব্বঙ্গী দ্যোতয়ন্তী দিশস্ত্বিষা। |
দৈত্যেন্দ্র, অতিশয় চারু-অবয়বা সেই নারীরত্ন অঙ্গ-প্রভায় দশদিক আলোকিত করিয়া অবস্থান করিতেছেন। তিনি আপনার দর্শনযোগ্যা। ৯২ |
যানি রত্নানি মণয়ো গজাশ্বাদীনি বৈ প্রভো। |
হে প্রভু, ত্রিভুবনে শ্রেষ্ঠ হস্তী ও অশ্বাদিরূপ যে-সকল রত্ন এবং পদ্মরাগাদি মণি আছে, সেই সকলই সমপ্রতি আপনার প্রাসাদে শোভা পাইতেছে। ৯৩ |
ঐরাবতঃ সমানীতো গজরত্নং পুরন্দরাৎ। |
আপনি ইন্দ্রের নিকট হইতে গজরাজ ঐরাবত, এই দেবতরু পারিজাত এবং উচ্চৈঃশ্রবা নামক অশ্বরত্ন আনিয়াছেন। ৯৪ |
বিমানং হংসসংযুক্তমেতত্তিষ্ঠতি তেহঙ্গনে। |
এই হংসসংযুক্ত রত্নতুল্য আশ্চর্য দেবযান বিমান পূর্বে ব্রহ্মার ছিল। আপনা কর্তৃক আনীত হইয়া ইহা এখন আপনার অঙ্গনে আছে। ৯৫ |
নিধিরেষ মহাপদ্মঃ সমানীতো ধনেশ্বরাৎ। |
কুবেরের নিকট হইতে আপনি নবনিধির অন্যতম মহাপদ্ম নামক নিধি আনিয়াছেন এবং সমুদ্রও আপনাকে অমান পদ্মের কিঞ্জল্কিনী নামক একটি মালা দিয়াছেন। ৯৬ |
ছত্রং তে বারুণং গেহে কাঞ্চনস্রাবি তিষ্ঠতি। |
বরুণের ¯^Y©gq ছত্র এবং প্রজাপতির এই শ্রেষ্ঠরথ এক্ষণে আপনার প্রাসাদে শোভা পাইতেছে। ৯৭ |
মৃত্যোরুৎক্রান্তিদা নাম শক্তিরীশ! ত্বয়া হৃতা। |
প্রভো, আপনি যমের উৎক্রান্তিদা নামক শক্তি-অস্ত্র আহরণ করিয়াছেন এবং জলদেবতা বরুণের পাশাস্ত্রও আপনার ভ্রাতা নিশুম্ভের অধিকারে আছে। ৯৮ |
নিশুম্ভস্যাব্ধিজাতাশ্চ সমস্তা রত্নজাতয়ঃ। |
সমুদ্রজাত সমস্ত রত্নরাজি নিশুম্ভের হস্তগত এবং অগ্নিও আপনাকে এমন বস্ত্রযুগল দিয়াছেন, যাহা কেবলমাত্র অগ্নির দ্বারাই পরিষকৃত হয়। ৯৯ |
এবং দৈত্যেন্দ্র! রত্নানি সমস্তান্যাহৃতানি তে। |
হে দৈত্যেন্দ্র, এইরূপে আপনি সমস্ত শ্রেষ্ঠ বস্তু সংগ্রহ করিয়াছেন। তবে কেন আপনি এই কল্যাণী স্ত্রীরত্নকে গ্রহণ করিতেছেন না? ১০০ |
ঋষিরুবাচ।। ১০১ |
মেধা ঋষি বলিলেন-তখন সেই শুম্ভ চণ্ড এবং মুণ্ডের মুখে এই সকল কথা শুনিয়া মহাসুর সুগ্রীবকে দেবীর নিকট দূতরূপে প্রেরণ করিল। ১০১-১০২ |
ইতি চেতি চ বক্তব্যা সা গত্বা বচনান্মম। |
শুম্ভ সুগ্রীবকে বলিল-তুমি তথায় যাইয়া আমার কথানুসারে ‘এই’ ‘এই’ কথা তাঁহাকে বলিবে এবং যাহাতে তিনি সমপ্রীতিসহ শীঘ্রই আমার নিকট আসেন সেইরূপ করিবে। ১০৩ |
স তত্র গত্বা যত্রাস্তে শৈলোদ্দেশেহতিশোভনে। |
অতি রমণীয় শৈলশিখরে যথায় সেই দেবী বিরাজিতা ছিলেন, সুগ্রীব তথায় গমনপূর্বক দেবীকে অতিশয় কোমল ভাবে মধুর বাক্যে বলিল-। ১০৪ |
দূত উবাচ।। ১০৫ |
দূত বলিল- হে দেবি, দৈত্যেশ্বর শুম্ভ ত্রিভুবনের একমাত্র অধিপতি। আমি তৎকর্তৃক প্রেরিত দূত। আমি এখানে আপনার নিকটে আসিয়াছি। ১০৫-১০৬ |
অব্যাহতাজ্ঞঃ সর্ব্বাসু যঃ সদা দেবযোনিষু। |
দেবতাগণের মধ্যে যাঁহার আদেশ সদা অপ্রতিহত, যিনি সকল দৈত্যশত্রু দেবগণকে পরাজিত করিয়াছেন, তিনি ¯^qs যাহা বলিয়াছেন তাহা শ্রবণ করুন। ১০৭ |
মম ত্রৈলোক্যমখিলং মম দেবা বশানুগাঃ। |
সমগ্র ত্রিভুবন আমার অধীন, দেবগণও আমার বশবর্তী। বিভিন্ন দেবতার উদ্দেশ্যে প্রদত্ত সমুদয় যজ্ঞাংশ আমি পৃথক্ভাবে সেই সেই দেবতারূপে উপভোগ করি। ১০৮ |
ত্রৈলোক্যে বররত্নানি মম বশ্যান্যশেষতঃ। |
এই তিন লোকে যত শ্রেষ্ঠ রত্ন আছে, সেই সমস্তই আমার অধিকৃত। আমি ইন্দ্রের বাহন ঐরাবতও বলপূর্বক হরণ করিয়াছি। ১০৯ |
ক্ষীরোদমথনোদ্ভূতমশ্বরত্নং মমামরৈঃ। |
ক্ষীরসমুদ্র-মন্থনে উদ্ভূত অশ্বশ্রেষ্ঠ উচ্চৈঃশ্রবাকে দেবগণ প্রণামপূর্বক আমাকে সমর্পণ করিয়াছেন। ১১০ |
যানি চান্যানি দেবেষু গন্ধর্ব্বেষূরগেষু চ। |
হে সুন্দরি, ইন্দ্রাদি দেবগণের, বিশ্বাবসু আদি গন্ধর্বগণের এবং বাসুকি আদি সর্পগণের অধিকারে যত কিছু রত্নতুল্য শ্রেষ্ঠ বস্তু আছে, সেই সবই এক্ষণে আমারই অধিকৃত। ১১১ |
স্ত্রীরত্নভূতাং ত্বাং দেবি! লোকে মন্যামহে বয়ম্। |
হে দেবি, এই সংসারে আমরা আপনাকে স্ত্রীরত্ন বলিয়া মনে করি। আপনি আমাদের গৃহে আসুন। কারণ আমরাই শ্রেষ্ঠবস্তু-ভোগের উপযুক্ত পাত্র। ১১২ |
মাং বা মমানুজং বাপি নিশুম্ভমুরুবিক্রমম্। |
হে চঞ্চলাক্ষি, আপনি রমণীকুলের iZœ¯^iƒcv| অতএব, আমাকে বা আমার কনিষ্ঠ ভ্রাতা মহাবিক্রম নিশুম্ভকে পতিরূপে গ্রহণ করুন। ১১৩ |
পরমৈশ্বর্য্যমতুলং প্রাপ্স্যসে মৎপরিগ্রহাৎ। |
আমার পাণিগ্রহণ করিলে অতুলনীয় শ্রেষ্ঠ ঐশ্বর্য পাইবেন। ইহা বুদ্ধিপূর্বক উত্তমরূপে বিচার করিয়া আমার পত্নীত্বগ্রহণে ¯^xK…Zv হউন। ১১৪ |
ঋষিরুবাচ।। ১১৫ |
মেধা ঋষি রাজা সুরথকে বলিলেন-দূত কর্তৃক এইরূপে অভিহিতা হইয়া তখন সেই জগদ্ধাত্রী ভদ্রা ভগবতী দুর্গাদেবী গম্ভীরা হইলেন এবং মনে মনে হাস্যপূর্বক দূতকে বলিলেন-।১১৫-১১৬ |
দেব্যুবাচ।। ১১৭ |
দেবী বলিলেন-তুমি সত্যই বলিয়াছ। শুম্ভ ত্রিভুবনের অধিপতি এবং নিশুম্ভও তাদৃশ শক্তিশালী। তুমি এই বিষয়ে কিছুই মিথ্যা বল নাই। ১১৭-১১৮ |
কিন্ত্বত্র যৎ প্রতিজ্ঞাতং মিথ্যা তৎ ক্রিয়তে কথম্। |
কিন্তু এই বিষয়ে পূর্বে আমি অল্পবুদ্ধিবশতঃ যে প্রতিজ্ঞা করিয়াছি, তাহা কিরূপে লঙ্ঘন করি? আমি যে প্রতিজ্ঞা করিয়াছি তাহা শ্রবণ কর। ১১৯ |
যো মাং জয়তি সংগ্রামে যো মে দর্পং ব্যপোহতি। |
যিনি আমাকে সংগ্রামে পরাজিত করিবেন, যিনি আমার দর্প চূর্ণ করিবেন এবং যিনি জগতে আমার তুল্য বলশালী, তিনিই আমার পতি হইবেন। ১২০ |
তদাগচ্ছতু শুম্ভোহত্র নিশুম্ভো বা মহাসুরঃ। |
অতএব মহাসুর শুম্ভ নিশুম্ভ এখানে আসুক এবং আমাকে পরাজিত করিয়া শীঘ্র আমার পাণিগ্রহণ করুক। আর বিলম্বে প্রয়োজন কি? ১২১ |
দূত উবাচ।। ১২২ |
দূত সুগ্রীব বলিল- হে দেবি, আপনি অত্যন্ত গর্বিতা হইয়াছেন। আপনি আমার সম্মুখে এরূপ কথা আর বলিবেন না। ত্রিভুবনে এমন কোন্ পুরুষ আছে যে শুম্ভ ও নিশুম্ভের সম্মুখে দাঁড়াইতে পারে? ১২২-১২৩ |
অন্যেষামপি দৈত্যানাং সর্ব্বে দেবা ন বৈ যুধি। |
যুদ্ধে সমস্ত দেবতা একত্র মিলিত হইয়া অন্যান্য দৈত্যগণের সম্মুখে দাঁড়াইতে পারেন না। আপনি একাকিনী নারী কিরূপে দাঁড়াইবেন? ১২৪ |
ইন্দ্রাদ্যাঃ সকলা দেবাস্তস্থূর্যেষাং ন সংযুগে। |
ইন্দ্রাদি দেবগণ যে শুম্ভপ্রমুখ দৈত্যের সহিত যুদ্ধে স্থির থাকিতে পারেন না, আপনি স্ত্রীলোক হইয়া কিরূপে তাঁহাদের সম্মুখে যাইবেন? ১২৫ |
সা ত্বং গচ্ছ ময়ৈবোক্তা পার্শ্বং শুম্ভ-নিশুম্ভয়োঃ। |
আপনি এইরূপ প্রতিজ্ঞা করিলেও আমার পরামর্শানুসারে শুম্ভ ও নিশুম্ভের সমীপে গমন করুন; কেশাকর্ষণে অপমানিতা হইয়া যাইবেন না। ১২৬ |
দেব্যুবাচ।। ১২৭ |
দেবী বলিলেন-শুম্ভ বলবান্ এবং নিশুম্ভও অতিবীর্যবান্ ইহা সত্যই। কিন্তু কি করিব? পূর্বে আমি এরূপ বিচারপূর্বক প্রতিজ্ঞা করি নাই। ১২৭-১২৮ |
স ত্বং গচ্ছ ময়োক্তং তে যদেতৎ সর্ব্বমাদৃতঃ। |
তুমি শুম্ভের নিকট যাও। আমি তোমাকে যাহা যাহা বলিলাম সেইসব কথা যত্নপূর্বক দৈত্যেন্দ্রকে বল। সে যাহা সমুচিত বিবেচনা করে, তাহাই করুক। ১২৯ |
ইতি মার্কণ্ডেয়পুরাণে সাবর্ণিকে gš^šÍ‡i |
শ্রীমার্কণ্ডেয়পুরাণের অন্তর্গত সাবর্ণিমনুর AwaKvim¤^Üxq দেবীমাহাত্ম্যানুবাদে দেবীর সহিত শুম্ভদূতের কথোপকথন-নামক পঞ্চম অধ্যায় সমাপ্ত। |