চণ্ডীপাঠ-ফলম
শ্রী সপ্তশতীর এই রহস্যত্রয়ের ঋষিগণ যথাক্রমে-ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও রুদ্র;
দেবতাগণ যথাক্রমে-মহাকালী, মহালক্ষ্মী ও gnvmi¯^Zx; ছন্দ-অনুষ্টুপ্‌,; বীজ-নবদুর্গা, মহালক্ষ্মী;ড়
এবং শক্তি-শ্রীং। অভীষ্টফলসিদ্ধির জন্য সপ্তশতীপাঠান্তে রহস্যত্রয়পাঠের প্রয়োগ হয়।

মূল

অনুবাদ

চণ্ডীপাঠ-ফলং দেবি শৃণুষ্ব গদতো মম।
একাবৃত্ত্যাদি পাঠানাং প্রত্যহং পঠতাং নৃণাম্‌।। ১

হে দেবি, প্রত্যহ চণ্ডীপাঠকের একাবৃত্ত্যাদি (চণ্ডী) পাঠের ফল বলিতেছি, শ্রবণ কর। ১

সঙ্কল্প্য পূজ্যাং সম্পূজ্য ন্যস্যাঙ্গেষু মনূন্‌ সকৃৎ।
পশ্চাদ্‌ বলিপ্রদানেন ফলমাপ্নোতি মানবঃ।।২

সঙ্কল্পপূর্বক একবার অঙ্গসমূহ মন্ত্রান্যাস করিয়া দেবীর পূজা করিয়া পশ্চাৎ বলি প্রদান করিলে মানুষ অভীষ্ট ফল প্রাপ্ত হয়। ২

উপসর্গোপশান্ত্যর্থং ত্রিরাবৃত্তং পঠেন্নরঃ।
গ্রহদোষোপশান্ত্যর্থং পঞ্চাবৃত্তং বরাননে।। ৩

উপসর্গ (উপদ্রব) শান্তির (নিবারণের) জন্য তিনবার চণ্ডীপাঠ করিবে এবং গ্রহদোষ-শান্তির নিমিত্ত পাঁচবার চণ্ডীপাঠ করা উচিত। ৩

মহাভয়ে সমুৎপন্নে সপ্তাবৃত্তমুদীরয়েৎ।
নবাবৃত্তা ভবেচ্ছান্তির্বাজপেয়ফলং লভেৎ।। ৪

মহাভয় উপস্থিত হইলে সপ্তাবৃত্তি (সাতবার) পাঠ করিবে এবং নবাবৃত্তিপাঠে শান্তি ও বাজপেয় যজ্ঞের ফললাভ হয়। ৪

রাজবশ্যায় ভুত্যৈ চ রুদ্রাবৃত্তমুদীরয়েৎ।
অর্কাবৃত্ত্যা কাম্যসিদ্ধির্বৈরিনাশশ্চ জায়তে।। ৫

রাজাকে বশীভূত করিবার জন্য ও বিভূতি-(ঐশ্বর্য) লাভের জন্য রুদ্রাবৃত্তি (একাদশ বার) চণ্ডী পাঠ করিবে। অর্কাবৃত্তি (দ্বাদশ বার) পাঠ করিলে কামনাসিদ্ধি ও শত্রুনাশ হয়। ৫

gš^ve„˨v রিপুর্বশ্যস্তথা স্ত্রীবশ্যতামিয়াৎ।
সৌখ্যং পঞ্চদশাবৃত্ত্যা শ্রিয়মাপ্নোতি মানবঃ।। ৬

মনু-আবৃত্তি (চৌদ্দ বার) পাঠ করিলে দুর্জয় শত্রু ও দুষ্টা স্ত্রী বশীভূত হয় এবং পঞ্চাদশাবৃত্তিপাঠে মানবের মিত্রতা ও সম্পদ্‌ লাভ হয়। ৬

কলাবৃত্ত্যা পুত্রপৌত্রধনধান্যাগমং বিদুঃ ।
রাজভীতিবিনাশায় বৈরস্যোচ্চাটনায় চ।। ৭

কলাবৃত্তি (ষোড়শ বার) পাঠে পুত্রপৌত্র ও ধনধান্য লাভ হয়। রাজভয়-বিনাশার্থ সপ্তদশাবৃত্তি, শত্রুর উচ্চাটনার্থ অষ্টাদশাবৃত্তি এবং দুষ্ট ব্রণ হইতে মুক্তির জন্য বিংশাবৃত্তি পাঠ করিবে। ৭-৮

কুর্যাৎ সপ্তদশাবৃত্তং তথাষ্টাদশকং প্রিয়ে।
মহব্রণবিমোক্ষায় বিংশাবৃত্তং পাঠন্নরঃ।। ৮

পঞ্চবিংশাবর্তনাচ্চ ভবেদ্‌ বন্ধবিমোক্ষণম্‌।
সঙ্কটে সমনুপ্রাপ্তে দুশ্চিকিৎস্যভয়ে সদা।। ৯

পঞ্চবিংশাবৃত্তিপাঠে কারাবন্ধন হইতে মুক্তিলাভ হয়। সঙ্কটকাল ও দুশ্চিকিৎস্য-রোগভয় উপস্থিত হইলে, জাতিধ্বংস, কুলরাশ ও আয়ুক্ষয় আরম্ভ হইলে, শত্রুবৃদ্ধি বা রোগবৃদ্ধি হইলে, ধননাশ বা ধনক্ষয়-সময়ে, ত্রিবিধ (আধ্যাত্মিক, আধিদৈবিক ও আধিভৌতিক) উৎপাত (উপদ্রব) উৎপন্ন হইলে বা অতিপাতক অনুাষ্ঠত হইলে যত্নপূর্বক যথাবিধি শতাবৃত্তি চণ্ডীপাঠ করিবে। তাহা হইলে পূর্বোক্ত বিপদসমূহ বিনষ্ট হইয়া মঙ্গললাভ হইবে। ৯-১১

জাতিধ্বংসে কুলোচ্ছেদে আয়ুষো নাশ আগতে।
বৈরিবৃদ্ধৌ ব্যাধিবৃদ্ধৌ ধননাশে তথা ক্ষয়ে।। ১০

তথৈব ত্রিবিধোৎপাতে তথা চৈবাতিপাতকে।
কুর্যাদ্‌ যত্নাৎ শতাবৃত্তং ততঃ সম্পদ্যতে শুভম্‌।। ১১

বিপদস্তস্য নশ্যন্তি ততো যাতি পরাং গতিম্‌।
ধিয়ো বৃদ্ধিঃ শতাবৃত্ত্যা রূপবৃদ্ধিস্তথাপরা।। ১২

যিনি শতাবৃত্তি চণ্ডীপাঠ করেন তাঁহার সকল বিপদ নাশ হয়, পরাগতি (ঊর্ধ্বলোকে গতি) লাভ হয় এবং তাঁহার বুদ্ধি ও সৌন্দর্য উত্তরোত্তর উৎকর্ষলাভ করে। ১২

মনসা চিন্তিতং দেবি সিধ্যেদষ্টোত্তরাচ্ছতাৎ।
শতাশ্বমেধ-যজ্ঞানাং ফলমাপ্নোতি সুব্রতে।।১৩

হে সুব্রতে, অষ্টোত্তরশতাবৃত্তি চণ্ডীপাঠে সকল মনোবাসনা পূর্ণ হয় এবং শত অশ্বমেধযজ্ঞের ফললাভ হয়। ১৩

সহস্রাবর্তনাল্পক্ষ্মীরাবৃণোতি ¯^qs স্থিরা।
প্রাপ্তো মনোরথান্‌ কামান্‌ নরো মোক্ষমবাপ্নুয়াৎ।। ১৪

যে ব্যক্তি সহস্রাবৃত্তি চণ্ডী পাঠ করেন, চঞ্চলা লক্ষ্মী ¯^qs তাঁহার গৃহে অচলা হন, তাঁহার সকল মনোরথ সিদ্ধ হয় এবং সেই ব্যক্তি অন্তে মোক্ষলাভ করেন। ১৪

যথাশ্বমেধঃ ক্রতুযু দেবানাঞ্চ যথা হরিঃ।
স্তবানামপি সর্ব্বেষাং তথা সপ্তশতীস্তবঃ।। ১৫

যজ্ঞসমূহের মধ্যে যেমন অশ্বমেধযজ্ঞ শ্রেষ্ঠ ও দেবগণের মধ্যে যেমন হরি শ্রেষ্ঠ, সেইরূপ স্তোত্রসমূহের মধ্যে সপ্তশতী চণ্ডীই শ্রেষ্ঠ। ১৫

অথবা বহুনোক্তেন কিমন্যেন বরাননে।
চণ্ড্যাঃ শতাবৃত্তপাঠাৎ সর্ব্বাঃ সিধ্যন্তি সিদ্ধয়ঃ।। ১৬

হে বরাননে, অধিক আর কি বলিব, শতাবৃত্তি চণ্ডীপাঠের ফলে সকল সিদ্ধিই লাভ হয়। ১৬

ইতি বারাহীতন্ত্রে চণ্ডীপাঠ-ফলং সমাপ্তম্‌।
সমাপ্তম্‌।

শ্রীবারাহীতন্ত্রোক্ত চণ্ডীপাঠফলের অনুবাদ সমাপ্ত।

প্রণাম- মন্ত্র
ওঁ সর্ব্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্ব্বার্থসাধিকে।
শরণ্যে Ψ¤^‡K গৌরি নারায়ণি নমোহস্তু তে।।