
কাশীতে দেবী বারাহী
মাটির নিচে গর্ভগৃহে মা-বারাহীকে দর্শন করতে হয় উপর থেকে। পূজারী ভোরবেলায় পূজা করে নিচের দরজা বন্ধ করে চলে যান। এরপরে সারাদিনই উপরের মেঝের ঐ ছিদ্র দিয়ে মাথা নিচু করে দেবীকে দর্শন করতে হয়। উপর থেকে বোঝা যায় বেশ প্রমাণ আকারের দণ্ডায়মানা বারাহী মূর্তি। পাথরের বিগ্রহ, শাড়ি পরিহিতা, শুধু মুখখানি বরাহের আকৃতি। ঊর্ধ্বমুখ। জিভের একপাশ দিয়ে একটুকরো কাপড় বেরিয়ে আছে। এটি একটি করুণ কাহিনীর চিহ্ন। জনশ্র“তি, প্রাচীনকালে কোনো এক সময় পূজারীর একটি বালিকাকন্যা দরজা খোলা অবস্থায় মন্দিরে এসে খেলার ছলে মাকে স্পর্শ করেছিল-দেবী ক্রুদ্ধা হয়ে সেই কন্যাকে তুলে নিয়ে মুখে পুরে নেন। তার পরিধানের শাড়ির একটু অংশ শুধু বাইরে বেরিয়ে ছিল। পরে পূজারী মেয়েকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে মন্দিরে এসে মায়ের মুখের পাশ থেকে শাড়ির অংশটুকু বেরিয়ে থাকতে দেখে সব বুঝতে পারেন। নিজের কন্যার অপরাধ স্বীকার করে নিলেও এরপর থেকে আর কোন ভক্ত সামনাসামনি মাকে যাতে দর্শন না করতে পারে সেজন্য দরজা চিরতরে বন্ধ করে ছাদের উপর একটুখানি ছিদ্র দিয়ে দর্শনের ব্যবস্থা করেন।