
কাশীতে দেবী সংকটা
মন্দিরে ঢোকার পথে বিরাট সিংহ মূর্তি বসে আছেন। মায়ের গর্ভমন্দির ছোট্ট। সেখানে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ, শুধুমাত্র পূজারী ছাড়া । মায়ের সামনে একটি বেঞ্চির আড়াল। তাই নাটমন্দিরে দাঁড়িয়ে মাকে দর্শন প্রণাম করতে হয়।
সুন্দর মূর্তি। বেশ প্রমাণ আকারের সিংহবাহিনী, অসুরবধ করেছেন। কালো পাথরের মূর্তি। তবে মায়ের মুখে ও হাতেপায়ে সোনার আবরণ লাগানো। মুখখানি ত্রিনেত্র সিন্দূরলিপ্তললাট। খুব জ্বলজ্বলে মুখ। সুন্দর শাড়ি ও ফুল মালা মুকুটে সাজানো বিগ্রহ। দেবী খুব জাগ্রতা। ভক্তেরা সকলে-সন্ধ্যায় দেবীর আরতির সময় এসে সুর করে হাততালিদিয়ে গান গায়। বিশেষ করে এখানে মেয়েদের ভিড় বেশি। প্রবাদ ভ্রষ্টরাজ্যের যুধিষ্ঠিরাদি পঞ্চপাণ্ডব ঘুরতে ঘুরতে এই আনন্দকানন কাশীতে এসে মার্কণ্ডেয় মুনির কাছে তাঁদের বিপদের কথা বলেন। মুনি তখন তাদের বলেন, “আনন্দকাননে দেবী সংকটা নাম বিশ্র“তা। বীরেশ্বরোত্তর ভাগে চন্দ্রেশ্বরস্য পূর্বতঃ”। তাঁর অষ্ট নামকীর্তন করে পূজা করে বিশ্বেশ্বরকে পূজা করলে “সংকটনাশনঞ্চৈব ত্রিষু লোকেষু বিশ্র“তম্।” তাই হয়েছিল পঞ্চপাণ্ডবদের এই দেবীর কৃপায়। তাই এই দেবী সংকটা বা সংকটনাশিনী নামে কাশীতে মহাখ্যাতা। মন্দিরের বাইরের দেওয়ালে এই দেবীর পদ্মপুরাণে উল্লিখিত শ্লোক লেখা আছে। সকলে এসে সেটি পাঠ করে দেবীকে প্রণাম করে যায়।